1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  3. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  4. [email protected] : News Editir : News Editir
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

ডুবতে বসেছে সম্ভাবনাময় রেস্তোরাঁ খাত শিল্প !

  • আপডেট সময় সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪

মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ ‘জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২’-এ সেবা খাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁকে। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি দীর্ঘদিন ধরে এ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছিল। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভা এই নীতির অনুমোদন দেয়। অবশেষে গেজেট প্রকাশ হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।বাংলাদেশ শিল্পনীতি-২০২২-এর গেজেটে সেবা খাতের পঞ্চম অবস্থানে রাখা হয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁ শিল্পকে।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয়ের কারণে শিল্পের মর্যাদা অর্জন করেছে রেস্তোরাঁ সেক্টরটি।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনে কর্তপক্ষের অবহেলায় অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে ।তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় অপরিকল্পিত ভাবে ভবনের প্রতিটি সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো ডজনে ডজনে যার কারনে দ্রুত সময়ে আগুন ছডিয়ে পড়েছে পুরো ভবনে এমনি অভিযোগ ছিলো ভবন কর্তৃপক্ষের
বিরুদ্ধে ।যাহা ভবন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও রাজউক তদন্ত কমিটি ।

বেইলী রোডের ঘটনার পরপরই টনক নড়েছে রাজউকসহ অন্যন্যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার।বেইলী রোড়ের ঘটনার সূত্রধরে রাজউক নিজেদের খামখেয়ালী মতো রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় সরকারী অনুমোদিত ভবনের রেস্টুরেন্ট গুলো কোনো লিখিত নোট্স ছাড়া বন্ধ করে দেয় ।বাদ যায়নি রাজধানীর আভিজাত এলাকা ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পিক বিল্ডিং এর ১৫ অধিক রেস্টুরেন্ট যার কারনে দিশেহারা ১৪০০ এর অধিক কর্মকর্তা কর্মচারী ।

গাউসিয়া টুইন পিক বিল্ডিং টির সভাপতি জাকির হোসেন ও সেক্রেটারী আবুল এহ্সান আনোয়ার সাহেব এর কাছে জানতে চাইলে তাহারা সাংবাদিকদের জানান আমাদের এই বিল্ডিং টি রাজউক নকশার কোন ব্যাপ্তয় না ঘটিয়ে একটি আইকনিক ভবন হিসাবে পুরো ঢাকা শহরের একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে সূ পরিচিত।আমাদের রেস্তোরাঁগুলি উন্নত মানের রেস্তোরাঁ হিসাবে সূ পরিচিত। এখানে দেশি বিদেশি অতিথিরা আপ্যায়ন করতে আসেন।এই বাণিজ্যিক ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট এবং চলাচলের জন্য দুইটি প্রশস্ত সিঁড়ি রহিয়াছে। এবং অগ্নি নির্বাপক সকল ব্যাবস্থা বিদ্যমান থাকা সত্তেও গত ৪ ঠা মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে কোন লিখিত নোটিশ ব্যাতিত হঠাৎ রাজউক অভিযান চালিয়ে আমাদের ভবনটির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে সিলগালাও করে দেয়।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একই রোডে রুপায়ন এবং জাস্টিস আমিন আহমেদ বিল্ডিং এর বাফেট লাউঞ্জ, বাফেট প্যারাডাইজ, বাফেট এম্পাইয়ার, চিকিং, সিক্রেট রেসিপি, ধাবা, স্নাক্স অ্যাটাক, গ্র্যান্ড লাউঞ্জ, বাফেট স্টোরিজ, গারলিক এন্ড জিঞ্জার, গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরি, এম্রসিয়া, ক্যাফে রিও, দা ফরেস্ট লাউঞ্জ এই রেস্তোরাঁ গুলি খোলা আছে সেগুলোর দিকে নজর নেই রাজউক কর্তৃপক্ষের ।

সভাপতি আরো বলেন,আমাদের প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিদ্যুৎ,পানির অপচয়,অপব্যবহার ও কোন অনিয়মের অভিযোগ নাই এবং নিয়মিত বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ করিয়া আসিতেছি। আমাদের ভবন টি বর্তমান যুগের অত্যন্ত আধুনিক, দৃষ্টি নন্দন, বিনোদন উপযোগী নিরাপদ ভবন।

তিনি আরো বলেন আমাদের এই বিল্ডিং এ যেসকল রেস্টুরেন্ট আছেন প্রতিটি রেস্টুরেন্ট সর্বদিক দিয়ে গুনগত ও সেফ্টি সম্পন্ন রাজউক অনুমোদিত ফায়ার সেফটি সম্পূন্ন সরকারী সকল বিধিমালা অনুয়ায়ী পরিচালিত হয় ।

আমাদের এই বিল্ডিং এর প্রতিটি রেষ্টুরেন্ট গ্রাহক সেবায় অনেক উন্নত ও গুনগত গ্রাহকের সকল চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেস্টুরেন্ট গুলো পরিচালিত হয় ।আমাদের ভবনে রয়েছে গ্যালিটোস,ডলসি,সাওপাওলো,কড়াই গোস্ত,ইয়ামচা ডিসট্রিকট,দা লবি লাউঞ্জ,এরিস্টোক্রেট লাউঞ্জ,হোয়াইট হল বাফেট,মেরিটেজ ঢাকা,প্যান প্যাসিফিক লাউঞ্জ,স্পাইস এন্ড হারবস,কালচার এন্ড কুইজিন,চাপঘর,কাভান সিগনেচার এর মতো জনপ্রিয়সব রেস্টুরেন্ট ।রেষ্টুরেন্ট গুলো বন্ধ থাকলে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ভ্যাট ও রাজস্ব হারাবে।

তিনি আরো জানান যে আমাদের ভবনে রয়েছে,ফায়ার হাই ড্রেনট,ফায়ার হোস সিস্টেম,ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি,ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম,স্মোক ডিটেক্টর,ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার,যাহা প্রতিটি তলায় বিদ্যমান রহিয়াছে। ভবনটিতে ভূগর্ভস্থ দোতলা বিশিষ্ট পার্কিং ব্যাবস্থা বিদ্যমান রহিয়াছে। যেখানে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং ব্যাবস্থা আছে। আমাদের রেস্তোরাঁ গুলিতে রান্নার জন্য এল পি জি গ্যাস ব্যাঙ্ক স্থাপন করা হইয়াছে, যাহা ভবনের পেছনে নীচতলায় খালি জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কয়েকজন হোটেল মালিকের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে প্রতিষ্ঠানগুলি প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে তারা যাহার অর্ধেকের বেশি ব্যাংক লোন আছে।সুধু তাই নয় প্রায় পনের (১৫)জন বাড়িওয়ালা,যাহারা এই ভবনের ভাড়ার উপর নির্ভর করিয়া তাদের সংসার পরিচালনা করেন।

পবিত্র মাহে রমজানে এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে জন্মদিন,বিবাহ বার্ষিকী,কর্পোরেট মিটিং সহ বিবাহ অনুষ্ঠান এবং ইফতার ও
সেহরি পার্টির আয়োজন হয়ে থাকে। সুধু তাই নয় উক্ত অনুষ্ঠানগুলি আমরা প্রি বুকিং করে থাকি।কিন্তু হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ায় আয়োজক মহা বিপদে পরে যান। ৫/ এই ১৪ টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৪ শতাধিক গরীব কর্মচারীর কর্ম সংস্থান রয়েছে।এদের বেতন বোনাস সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।

সর্বপরি সকল রেস্টুরেন্ট দোকান মালিক ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা আকুল আবেদন দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন এবং এই বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি হইতে রক্ষা করিয়া প্রতিষ্ঠান গুলি সচল রাখার অনুমতি প্রার্থনা করেছেন ভুক্তভোগীরা ।
এরই মধ্য গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর অনেকে লিখিত স্বারক লিপিও দিয়েছেন বলে ও জানান যায় ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews