নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নিয়ে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউএনও সজল চন্দ্র শীল। বাকেরগঞ্জে মুজিবর্ষের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) সজল চন্দ্র শীল এই শিরোনামের সংবাদটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।
৫ জুলাই যুগান্তর পত্রিকার ঐ সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয় নবনির্মিত বেশিরভাগ ঘরের পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করেছে। প্রায় ৩০টি ঘরের লোহার দরজা-জানালা ভেঙে পড়ছে। এছাড়া ঘর নির্মাণে অত্যন্ত নিম্নমানের কাঠ ও লোহার সামগ্রী ব্যবহারের করা হয়েছে। এটা কতটুকু সত্য তা আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর গুলো ঘুরে দেখলেই বুঝা যাবে।
সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প ‘আশ্রয়ন প্রকল্প’ নিয়ে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের কারনে আশ্রয়ন প্রকল্পর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল।
৫ জুলাই বিকেল ৩ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তিনি বলেন, মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পারিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের নির্মাণ সংক্রান্ত যুগান্তর পত্রিকায় ঐ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দাওকাঠিতে নির্মিত মুজিববর্ষের ৩৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও হস্তান্তরের আগেই ৩০টি ঘরের অর্ধশত দরজা-জানালা ভেঙে পড়েছে। দাওকাঠির ৩৯টি ঘরের মধ্যে ৩০টি ঘরের শতাধিক দরজা-জানালা ভাঙা। বেশ কয়েকটি ঘরের দরজা সামনের অংশ ও খুঁটির পলেস্তারা খসে গিয়ে ভেতরের রড ও লোহার অংশ বের হয়ে আছে। প্রকাশিত সংবাদটির তথ্যসমূহের সত্যতা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন বাকেরগঞ্জের পক্ষ থেকে সরেজমিনে স্পটে ভিজিট করে যাচাই করি এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করি। এ থেকে প্রথমেই সবাইকে জানাতে চাই, তথ্যগুলি মিথ্যা, মনগড়া, এবং সংবাদকর্মী ভাইকে হয়তো কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
Leave a Reply